আগামী ২০ সেপ্টেম্বর চকরিয়া পৌরসভার অনুষ্টিতব্য ৫ম নির্বাচন উপলক্ষে মাঠে নামছে নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট। এতদসংক্রান্ত নির্দেশনা প্রাপ্তির পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট ও চকরিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত-উজ-জামান। তিনি জানান- ০৮ সেপ্টেম্বর থেকে পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রাহণের পরবর্তী ৩য় দিন অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ০৩ জন মেজিষ্ট্রেট ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মাঠে থাকবেন। নির্বাচন পূর্ব এবং নির্বাচন উত্তর এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোনভাবে বিঘ্ন না-ঘটে সেদিকে নজর থাকবে নির্বাহী মেজিষ্ট্রেটদের।
চকরিয়া পৌর এলাকার প্রত্যেক জন-সমাগম স্থলে এখন চলছে ভোটের আলাপ। বিশেষ করে মেয়র পদে সরকার দলীয় প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান কমিশনার জিয়াবুল হক এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। অন্য দুই প্রার্থী যথাক্রমে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এভোকেট ফয়সাল সিদ্দিকীর স্বপক্ষে এলাকায় ব্যাপক পোষ্টারিং হলোও ভোটারদের মুখে আলমগীর চৌধুরী এবং জিয়াবুল হকের নামই বেশি আলোচিত হচ্ছে।
রাজনীতিতে মাঠের বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- (বিএনপি), দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী না- দিলেও তাদের সমর্থিত সাধারণ ভোটারগণ আসন্ন নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ভোট কেন্দ্রে যাবেন “কি-না?” সে বিষযয়েও সচেতন মহলে আলোচনা চলছে জোরে-শোরে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সহিংসতার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে। এ প্রসঙ্গে তারা গত জুন মাসে আলমগীর চৌধুরী এবং জিয়াবুল হকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত একটি অপ্রীতিকর ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে টানছেন। বিএনপি সমর্থিত বেশ কিছু ভোটারের সাথে আলাপকালে তারা জানান- আমাদের দলীয় প্রার্থী না থাকায় এ বিষয়ে তেমন কোন আগ্রহ আমাদের মধ্যে নেই, তবে পৌরসভা হেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং এখানে স্থানীয় জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতাও রয়েছে, সেকারণে অনেকেই ভোটে কেন্দ্রে যেতে পারেন, তবে সবকিছু নির্ভর করছে নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলার উপর। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।