চকরিয়ায় ইউপি নির্বাচনী বিরোধের জেরে বাড়ি থেকে ঢেকে নিয়ে মোহাম্মদ সেলিম (৪৩) নামের এক মেম্বার প্রার্থীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসময় চৌকিদার শফিউল আলম (৩৮) নামের অপর একজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত আনুমানিক আটটার দিকে উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর উত্তরপাড়া স্টেশনে দোকানের ভেতরে ঢুকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মোহাম্মদ সেলিম উপজেলার মানিকপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদ এর ছেলে। আহত শফিউল আলম একই এলাকার মৃত আবু ছালাম সওদাগরের ছেলে।
গতকাল রাতে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিহত মোহাম্মদ সেলিমের বৃদ্ধা বাবা নুর মোহাম্মদ (৭৫) সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চৌকিদার শফিউল আলম কথা আছে অজুহাত দেখিয়ে মোবাইলে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ঢেকে নিয়ে যায়। এর ৩০ মিনিট পর স্থানীয় উত্তরপাড়া স্টেশনে দোকানে বসাবস্থায় অর্তকিত সেখানে এসে একাধিক মামলার আসামি জাহেদুল ইসলাম সিকদার ওরফে জাহেদ মেম্বার আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় একসঙ্গে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে সেলিমের পাশে বসা চৌকিদার চৌকিদার শফিউল আলমকে।
নিহতের বাবা নুর মোহাম্মদ দাবি করেন, গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মানিকপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান মেম্বার জাহেদ সিকদারের বিরুদ্ধে ভোট করেন আমার ছেলে সেলিম। নির্বাচনে আমার ছেলে অল্প ভোটে পরাজিত হলেও সেই থেকে তাঁকে (আমার ছেলেকে) মারবে কাটবে বলে নানাভাবে শাসিয়ে আসছে জাহেদ মেম্বার। এরই জেরধরে গতকাল স্থানীয় চৌকিদার
শফিউল আলমকে দিয়ে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ঢেকে নিয়ে জাহেদ মেম্বার কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ সেলিম, আহত চৌকিদার শফিউল আলম ও হামলায় নেতৃত্বদানকারী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বার জাহেদ সিকদার তিনজনই মানিকপুরের যুবলীগ নেতা আবু বক্কর হত্যা মামলার আসামি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ সেলিম নামের একজনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ঘটনায় অপর আহত শফিউল আলমের শাররীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হচ্ছে।
থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘটনায় জড়িত ঘাতক জাহেদ মেম্বারসহ তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছেন।
চকো/জে