বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তের ঘুমধুমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি হিসেবে একটি সাময়িক বিশ্রামাগার (ট্রানজিট ক্যাম্প) ও একটি প্রত্যাবাসন শিবির (রিপ্যাট্রিয়েশন ক্যাম্প) নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সাময়িক বিশ্রাম ও প্রত্যাবাসন শিবির করা হচ্ছে বলে শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমার বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের মংডু জেলার উত্তর-পশ্চিমের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তসংলগ্ন এলাকা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হবে।
প্রত্যাবাসন ও সাময়িক বিশ্রামের জন্য জায়গা চেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনওকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিশ্রামাগার তৈরির জন্য কাজের টেন্ডারও হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
মায়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রাত্যাবাসন সম্পর্কে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে সাময়িক বিশ্রাম ও প্রত্যাবাসন শিবিরের জন্য শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) থেকে সাড়ে ৩ একর জায়গা চাওয়া হয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য ও সাময়িক অবস্থান করার জন্য। ঘুমধুমের তুমব্রুতে ৩ একর ৫০ শতক জমির উপর সাময়িক বিশ্রামগার শিবির নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক জায়গাটি তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে মৈত্রি সেতু রয়েছে। সেখানে খালের উত্তর পাশে বাংলাদেশ অংশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পূর্ব দক্ষিণ পাশে মিয়ারমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) চৌকি রয়েছে।