কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তপন মল্লিকের বিরুদ্ধে ওসমান গনী নামের এক চাকুরীপ্রার্থীর দুই লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে হয়েছে।
রোববার ৩১ অক্টোবর ভুক্তভোগী ওসমান গনী বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি রুজু করেছেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু ছালেহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত বাদির নালিশী অভিযোগটি (সিআর নং ১২৭২/২১) মামলা হিসেবে রুজু করে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কক্সবাজারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে একমাত্র বিবাদি করা হয়েছে চকরিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তপন মল্লিককে। তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার খরণদ্বীপ ইউনিয়নের পোপাদিয়া গ্রামের মৃত যামিনী রঞ্জন মল্লিকের ছেলে।
মামলার এজাহারে পাঁচজনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। অপরদিকে বাদি ওসমান গনীর বাড়ি চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিন লোটনী গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে।
মামলার এজাহারে বাদি ওসমান গনী বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার অধীনে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির একজন ডিলারের মাধ্যমে সম্পর্কের সুবাধে ২০২১ সালের ৫ জুলাই চকরিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কার্যালয়ে পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে মাস্টাররোলে চাকুরী দেয়ার কথায় জামানত হিসেবে নগদ দুইলাখ টাকা দেন।
টাকা গ্রহণের সময় কথা ছিল বাদির চাকুরী স্থায়ী হলে জামানত হিসেবে দেয়া ওই টাকা ফেরত দেবে। কিন্তু টাকা গ্রহণের পর তাকে অফিসে চাকুরী দেয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে বিবাদি খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন মল্লিক সময়ক্ষেপন করতে শুরু করে। এমনকি দীর্ঘসময় তাকে ঘুরিয়ে শেষমেষ অফিসে মাস্টাররোলে পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে নিয়োগও দেয়নি বাদিকে।
বাদি ওসমান গনী এজাহারে আরও বলেন, পরবর্তীতে চকরিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন মল্লিকের কাছে জামানত হিসেবে দেওয়া দুই লাখ টাকা ফেরত চাইলেও বারবার সময়ক্ষেপন করে আসছেন অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা।
এরই প্রেক্ষিতে সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর দুপুরে বাদি ওসমান গনী চকরিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পুনরায় জামানত হিসেবে নেওয়া টাকা ফেরত চাইলে এসময় অভিযুক্ত তপন মল্লিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ অবস্থায় অনেকটা নিরূপায় হয়ে তিনি আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী বাদি ওসমান গনী।