কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূ ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্ত ইসরাফিল হুদা জয়ের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তাকে বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী’র আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেছিল ট্যুরিস্ট পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, ইসরাফিল হুদা জয় কক্সবাজার শহরের শফিউদ্দীনের ছেলে ও ধর্ষণ মামলার ৩ নম্বর আসামী। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে চকরিয়ার বাসটার্মিনালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছিল ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এরপর বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেছিল ট্যুরিস্ট পুলিশ। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এই মামলায় অভিযুক্ত জিয়া গেস্ট ইন ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনের চার দিনের রিমান্ড এবং রেজাউল করিম শাহাবুদ্দিন (২৫), মামুনুর রশীদ (২৮) ও মেহেদী হাসান এর দুই দিনের রিমান্ড আজ বুধবার শেষ হওয়ার পর তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে গত রোববার র্যাবের হাতে আটক ঘটনার প্রধান হোতা আশিককে এখনও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। তাকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তরের জন্য গত মঙ্গলবার আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল।
পর্যটক দাবিদার এক নারী দাবি করেছেন, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে শহরের সন্ত্রাসী আশিক তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে র্যাব অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের হোটেল জিয়া গেস্ট ইন থেকে তাকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী মামুন মিয়া বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।
আলোচিত এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হল- আশিকুর ইসলাম আশিক, ইস্রাফিল হুদা ওরফে জয়, মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। এদের মধ্যে ঘটনার রাতেই জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে এবং প্রধান অভিযুক্ত আশিককে গত রোববার মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এছাড়া একইদিন রেজাউল করিম, মামুনুর রশীদ ও মেহেদী হাসান নামের আরো তিনজনকে এ মামলায় গ্রেফতার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় এ ধর্ষণ মামলার ৩ নং আসামী ইস্রাফিল হুদা জয়কে।